আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারী সপ্তম ধাপে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউপিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
পাশাপাশি ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন না করা বিএনপি’র দলীয় প্রতীক ছাড়াই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অবস্থান করছে বিএনপি’রও কয়েকজন প্রার্থী।
এছাড়া জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচনের জোরালো প্রচার-প্রচারণা চলছে। ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ভোট প্রার্থনা করছে প্রার্থীগণ।
তবে এ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ১১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তিন ডজনের অধিক বিদ্রোহী প্রার্থী শক্তিশালীভাবে অবস্থান করছে বলে জানা যায়। একাধিক ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে কোণঠাসায় পরিণত হচ্ছে নৌকা।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও দলীয় অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে নৌকা প্রতীকে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করলেও নৌকার বিপক্ষে গিয়ে স্বতন্ত্র হিসাবে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে লড়াই করছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীগণ। এতে করে নৌকার প্রার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। তাই নৌকার পক্ষে ভোট না চেয়ে নিজ প্রতীকের ভোট প্রার্থনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এ যেন ‘চাচাঁ আপন প্রাণ বাচাঁ’।
ফলে অনেক ইউনিয়নে নৌকার বিজয় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের সতর্কবার্তা প্রদান করলেও খুব বেশি কাজে আসেনি। বরং অনেক স্থানে বিদ্রোহীদের চাপে প্রচার-প্রচারণায় গতি আনতে পারছেন না সরকারি দলের প্রার্থীরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাউকে কাউকে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা সমর্থন দিচ্ছেন। এতে সংঘর্ষ-সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা করছেন ভোটাররা।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, তৃণমুল পর্যায়ের বিভিন্ন ধাপে বিচার-বিশ্লেষণ পেরিয়ে যারা নৌকার প্রার্থী হয়েছেন অবশ্যই তারা যোগ্য ব্যক্তি। যারা আওয়ামীলীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে অবস্থান করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। দল থেকে যেকোন সময় বহিষ্কার সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।